বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আশীর্বাদে অনেকেই যেমন রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে জায়গা করে নেন, ঠিক তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই বহু মানুষ কটাক্ষের শিকার হয়ে থাকেন। জনপ্রিয়তা হারিয়ে কোণঠাঁসাও হয়ে পড়েন। তেমনই এক উদাহরণ ‘কাঁচা বাদাম’ গানের শিল্পী ভারতের বীরভূমের দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর। ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি দিয়ে যার বদলৌতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাইরাল হয়েছিলেন, সেই ইউটিউবারকেই একটা সময় চিনতে পারতেন না তিনি।
ছিল ছয়-ছয়জন অ্যাসিস্টেন্ট। যারা ফোন ধরতেন ভুবন বাদ্যকারের। মাঝে অভিযোগ করেছিলেন চক্রান্তের শিকার হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। একটি শর্টফিল্মে অভিনয় করে বেশ ভালই রোজগার করেছেন। তবে তা সাময়িক। এখন নেই আগের মত পসার। রাতারাতি কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি।
খোঁজ নিতে আবারও ফিরলেন সেই ইউটিউবার। তার কাছেই ভুবন বাদ্যকর স্বীকার করলেন, তিনি ভুল করেছিলেন। নিজের ভেতরে অহংকার বাসা বেঁধেছিল। এখন আর কোনো অ্যাসিস্টেন্টও নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে কয়েকমাস আগে প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ভুবন।
সে সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গোপাল নামে এক ব্যক্তি তাকে ৩ লাখ রুপি দিয়ে তাকে বলেন— তাদের চ্যানেলে ওই গান চালাবেন তিনি। এরপর কপি রাইটের বেড়াজালে পড়ে এই গানটি গাওয়া তো দূরে থাক, এখন কোনো গানে বাদাম শব্দই উচ্চারণ করতে পারেন না তিনি! ভুবন এও জানান, তার কাছে যে কপিরাইট কিনে নেয়া হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন তিনি। এমনকি এও জানান, গোপাল নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরও করেন তিনি।
এখন সব ছেড়ে ঘর ভাড়া করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু ফিরতে চান মানুষের মাঝে। আবারও সবার মনে জায়গা করতে মরিয়া। নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি নানা প্রান্ত থেকে টাকা পাচ্ছেন। অথচ একটা সময় সেই সব তথ্য অস্বীকার করেন তিনি। জানান, তাকে নাকি কেউ কিছুই দেয়নি। এই ইউটিউবারের সামনে সত্যি স্বীকার করে জানালেন, বেশ মোটা টাকাই পেয়েছিলেন তিনি ভক্তদের কাছ থেকে। যদিও আজ তার কিছুই নেই।